এইটা এন্টার্কটিকা ট্রিপে আমাদের দ্বিতীয় রিয়ালাইজেশন । এন্টার্কটিকা ট্রিপ টা আমাদের ২১ দিনের ছিলো । এই ২১ দিনের প্রতিদিন আমরা কিছু না কিছু নতুন শিখেছি এবং কিছু কিছু জিনিস এমন শিখেছি দেখেছি জেনেছি যে হতবাক হয়ে গেছি ।
তবে হতবাক যেমন ভালো দিকে হয়েছি তেমনি খারাপ দিকেও হয়েছি । আমাদের এই ট্রিপ শিক্ষামূলক ট্রিপ ছিলো, যেখানে জাহাজে যে দিন অনেক সময় সি ডে মানে শুধু জাহাজ চলবে এক জায়গা থেকে আর জায়েগাতে যাবে, সেই রকম দিনে আমাদের এক্সপেডিশন টিম এর মেম্বাররা আমাদের কিছু লেকচার ক্লাসেস দিতো তাতে বিভিন্ন জিনিস সমন্ধে আমাদের জানাত । পেঙ্গুইন , তিমি, শীল, অ্যালবাট্রস তো আছেই সাথে হিস্ট্রি, আইস সমন্ধে জ্ঞান , উইন্ড সিস্টেম সমন্ধে, বটানি , এমনকি ফোটোগ্রাফির ওপর ও ক্লাস হয়েছে । যত ক্লাস এগোলো ততই জানলাম যে মানুষ না থাকলে বরং পৃথিবী অনেক সুন্দর হতো ।
আমাদের জাহাজের প্রথম দিন ই আড্যাম আমাদের এক্সপেডিশন লিডার বললো তোমরা তো শুধু অ্যান্টার্কটিকার পেনিনসুলা যাচ্ছো না তোমরা যাচ্ছে খুব খুব স্পেশাল একটা জায়েগাতে এই পৃথিবীর , সেটা হলো সাউথ জর্জিয়া । আমি জানি না আমরা কটা ল্যান্ডিং করতে পারবো তাই প্রতি ল্যান্ডিংকেই ভাবতে হবে যে এটাই হয়তো শেষ । হতে পারে মাত্র একটাই পেলাম । এখানে আবহাওয়াই শেষ কথা । তাই সাউথ জর্জিয়া ল্যান্ড করে আমি চাইবো তোমরা নিজের জন্য টাইম রাখো । এ যা দেখবে তা হয়তো জীবনে আর কখনো কোথাও দেখবে না তাই সেই সময়টা ক্যামেরা ছবি তোলা এই করে নষ্ট কর না বেশী । শুধু উপলব্ধি করো খালি জয়েগাটাকে । এডাম এর সেই কোথা গুলো ভাবলে এখনও গায়ে কাঁটা দিচ্ছে । প্রথম ল্যান্ডিং সাউথ জর্জিয়াতে রাইট হোয়েল বে তে হয় । আর ফিরে এসে আমরা সেই ঘোড়েই ছিলাম । এ কি দেখলাম ।
সেখানে ওই ১ লাখ মতন পেঙ্গুইন ছিলো । চোখের সামনে এত এত পেঙ্গুইন!! আর সব কিং পেঙ্গুইন যে পেঙ্গুইন দ্বিতীয় সব থেকে বড় পেঙ্গুইন ।
এর পর হলো এক লেকচার তাতে জানলাম মানুষ আগে এই পেঙ্গুইন মেরে খেত । ভাবতে পারছো যেই প্রাণী টাকে আমরা এত কিউট মিষ্টি বলি, দেখলেই আদর করতে ইচ্ছে করে, সেই প্রাণী টাকে মানুষ মেরে খেত ।
এমপারর পেঙ্গুইন এখন ও থ্রেটেনেড স্পেসিস হিসাবে মার্কড হয়েছে।
শুধু তাই না মানুষ আগে তিমি মেরে সেই তিমির তেল দিয়ে দামি সাবান, কসম্যাটাক্স বানাত । এছাড়াও টেক্সিটাইল, ভার্নিস এসবে ও ব্যবহার হত । ১৯৩০ সালের আসে পাশে প্রত্যেক বছর ৫০ হাজার তিমি মারা হত। অনেক তিমির স্পেসিস এনডেঞ্জার হয়ে গেছে। তারপর অ্যান্ট্রাকটিক ট্রিটি আর ওয়ালিং কমিশনের জন্যে এখন তিমি সংরক্ষণ করা শুরু হয়েছে। কিছু কিছু তিমির প্রজাতি আবার সংখ্যাতে বেড়েছে । তাও এখন ও হোয়েল কিলিং চলছে , সমুদ্রে অয়েল স্প্লিটর কারণে তিমি এখনো এনডেঞ্জার।
এই ভাবে পেঙ্গুইন তিমি মেরে সাফ করে দিয়েছিলো । এখন আবার সংরক্ষণ এর আপ্রাণ চেষ্টা করে এই জায়েগাতে এসেছে । নেচার কে তুমি ৫% দিলে নেচার তোমাকে ১০৫% ফেরত দেবে ।
আমাদের জাহাজের এক্সপেডিশন টিম এর সকলে তারা যে কি প্রচন্ড ভালোবাসে এই ওয়াইল্ড লাইফ কি বলবো । তার খুব মন থেকে এই পেশা তে রয়েছে আর মন প্রাণ দিয়ে দায়িত্ব কর্তব্য পালন করে ।
নেচারের সংরক্ষনের জন্য আমাদের প্রতিবার জাহাজ থেকে নামলে নিজের সব জমা কাপড় ডিস ইনফেক্ট করতে হত । আর প্রতিবার বিশেষ করে বুট ধুতে এবং ডিস ইনফেক্ট করতে হত । বুট এর তলাতে ছোট থেকে ছোট কোনও কুচি পাথর, ধুলো, পালক থাকলে সেটা পরিষ্কার করার জন্য একটা ক্লিপ দিয়েছিল এবং তারা সেটা চেক ও করতো যে আমরা করেছি কিনা । আবার আইল্যান্ড থেকে জাহাজে ফেরত আসার সকোয় সমদূরের জলে ভালো করে বুট ধুয়ে ব্রাশ করে আসতে হত জাহাজে । ওই খানে ল্যান্ড এ খালি হাঁটা যেত, বসা যাবে না এমন কি হাঁটু ও ঠেকানো যাবে না । পেঙ্গুইন বা অন্য প্রাণী গেলে তাঁকে প্রিওর্টি দিতে হতো আর আমাদের দিকে তার এগিয়ে এলে আমাদের কে সরে আসতে হতো । এই ভাবে আমরা রেস্ট অফ ওয়ার্ল্ডের কিছু এন্টার্কটিকা তে বা এন্টার্কটিকার কিছু রেস্ট অফ দ্য ওয়ার্ল্ড যাওয়া থেকে আটকাতাম ।
ডেট : December 2024
Place: Antarctica
আমাদের জাহাজের প্রথম দিন ই আড্যাম আমাদের এক্সপেডিশন লিডার বললো তোমরা তো শুধু অ্যান্টার্কটিকার পেনিনসুলা যাচ্ছো না তোমরা যাচ্ছে খুব খুব স্পেশাল একটা জায়েগাতে এই পৃথিবীর , সেটা হলো সাউথ জর্জিয়া । আমি জানি না আমরা কটা ল্যান্ডিং করতে পারবো তাই প্রতি ল্যান্ডিংকেই ভাবতে হবে যে এটাই হয়তো শেষ । হতে পারে মাত্র একটাই পেলাম । এখানে আবহাওয়াই শেষ কথা । তাই সাউথ জর্জিয়া ল্যান্ড করে আমি চাইবো তোমরা নিজের জন্য টাইম রাখো । এ যা দেখবে তা হয়তো জীবনে আর কখনো কোথাও দেখবে না তাই সেই সময়টা ক্যামেরা ছবি তোলা এই করে নষ্ট কর না বেশী । শুধু উপলব্ধি করো খালি জয়েগাটাকে । এডাম এর সেই কোথা গুলো ভাবলে এখনও গায়ে কাঁটা দিচ্ছে । প্রথম ল্যান্ডিং সাউথ জর্জিয়াতে রাইট হোয়েল বে তে হয় । আর ফিরে এসে আমরা সেই ঘোড়েই ছিলাম । এ কি দেখলাম ।
এর পর হলো এক লেকচার তাতে জানলাম মানুষ আগে এই পেঙ্গুইন মেরে খেত । ভাবতে পারছো যেই প্রাণী টাকে আমরা এত কিউট মিষ্টি বলি, দেখলেই আদর করতে ইচ্ছে করে, সেই প্রাণী টাকে মানুষ মেরে খেত ।
শুধু তাই না মানুষ আগে তিমি মেরে সেই তিমির তেল দিয়ে দামি সাবান, কসম্যাটাক্স বানাত । এছাড়াও টেক্সিটাইল, ভার্নিস এসবে ও ব্যবহার হত । ১৯৩০ সালের আসে পাশে প্রত্যেক বছর ৫০ হাজার তিমি মারা হত। অনেক তিমির স্পেসিস এনডেঞ্জার হয়ে গেছে। তারপর অ্যান্ট্রাকটিক ট্রিটি আর ওয়ালিং কমিশনের জন্যে এখন তিমি সংরক্ষণ করা শুরু হয়েছে। কিছু কিছু তিমির প্রজাতি আবার সংখ্যাতে বেড়েছে । তাও এখন ও হোয়েল কিলিং চলছে , সমুদ্রে অয়েল স্প্লিটর কারণে তিমি এখনো এনডেঞ্জার।
এই ভাবে পেঙ্গুইন তিমি মেরে সাফ করে দিয়েছিলো । এখন আবার সংরক্ষণ এর আপ্রাণ চেষ্টা করে এই জায়েগাতে এসেছে । নেচার কে তুমি ৫% দিলে নেচার তোমাকে ১০৫% ফেরত দেবে ।
আমাদের জাহাজের এক্সপেডিশন টিম এর সকলে তারা যে কি প্রচন্ড ভালোবাসে এই ওয়াইল্ড লাইফ কি বলবো । তার খুব মন থেকে এই পেশা তে রয়েছে আর মন প্রাণ দিয়ে দায়িত্ব কর্তব্য পালন করে ।
নেচারের সংরক্ষনের জন্য আমাদের প্রতিবার জাহাজ থেকে নামলে নিজের সব জমা কাপড় ডিস ইনফেক্ট করতে হত । আর প্রতিবার বিশেষ করে বুট ধুতে এবং ডিস ইনফেক্ট করতে হত । বুট এর তলাতে ছোট থেকে ছোট কোনও কুচি পাথর, ধুলো, পালক থাকলে সেটা পরিষ্কার করার জন্য একটা ক্লিপ দিয়েছিল এবং তারা সেটা চেক ও করতো যে আমরা করেছি কিনা । আবার আইল্যান্ড থেকে জাহাজে ফেরত আসার সকোয় সমদূরের জলে ভালো করে বুট ধুয়ে ব্রাশ করে আসতে হত জাহাজে । ওই খানে ল্যান্ড এ খালি হাঁটা যেত, বসা যাবে না এমন কি হাঁটু ও ঠেকানো যাবে না । পেঙ্গুইন বা অন্য প্রাণী গেলে তাঁকে প্রিওর্টি দিতে হতো আর আমাদের দিকে তার এগিয়ে এলে আমাদের কে সরে আসতে হতো । এই ভাবে আমরা রেস্ট অফ ওয়ার্ল্ডের কিছু এন্টার্কটিকা তে বা এন্টার্কটিকার কিছু রেস্ট অফ দ্য ওয়ার্ল্ড যাওয়া থেকে আটকাতাম ।
ডেট : December 2024
Place: Antarctica
Attachments
-
এন্টার্কটিকা ট্রিপ (7).jpg478.5 KB · Views: 4
-
এন্টার্কটিকা ট্রিপ (6).jpg627.1 KB · Views: 5
-
এন্টার্কটিকা ট্রিপ (5).jpg398.5 KB · Views: 4
-
এন্টার্কটিকা ট্রিপ (19).jpg576.9 KB · Views: 4
-
এন্টার্কটিকা ট্রিপ (4).jpg283.7 KB · Views: 4
-
এন্টার্কটিকা ট্রিপ (18).jpg131.4 KB · Views: 2
-
এন্টার্কটিকা ট্রিপ (1).jpg337.2 KB · Views: 4
-
এন্টার্কটিকা ট্রিপ (2).jpg569.5 KB · Views: 3
-
এন্টার্কটিকা ট্রিপ (3).jpg193.2 KB · Views: 2
-
এন্টার্কটিকা ট্রিপ (15).jpg128.3 KB · Views: 4
-
এন্টার্কটিকা ট্রিপ (16).jpg502.4 KB · Views: 4
-
এন্টার্কটিকা ট্রিপ (17).jpg544 KB · Views: 2
-
এন্টার্কটিকা ট্রিপ (14).jpg459 KB · Views: 2
-
এন্টার্কটিকা ট্রিপ (13).jpg349.8 KB · Views: 3
-
এন্টার্কটিকা ট্রিপ (12).jpg164.4 KB · Views: 2
-
এন্টার্কটিকা ট্রিপ (11).jpg214.4 KB · Views: 2
-
এন্টার্কটিকা ট্রিপ (10).jpg422 KB · Views: 2
-
এন্টার্কটিকা ট্রিপ (9).jpg690.7 KB · Views: 2
-
এন্টার্কটিকা ট্রিপ (8).jpg577.4 KB · Views: 4